হ্যামট্রাম্যাক, ২১ ফেব্রুয়ারি : বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে মিশিগানের মানুষ। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহরের সিটি হল প্রাঙ্গনে সমবেত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার পর থেকেই সিটি হলের মাঠে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। বিভিন্ন সংগঠনসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের হাতে হাতে ছিল ফুল। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- সকলের মুখে মুখে ছিল ছিল কালজয়ী সেই গান। আবার অনেকে রাজনৈতিক স্লোগানও দিয়েছেন।
রাত ১২টা ১ মিনিটে হ্যামট্রাম্যাক সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা।
পরে একে একে শ্রদ্ধা জানান, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মিশিগান, মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, মিশিগান মহানগর আওয়ামী লীগ, জালালাবাদ সোসাইটি অব মিশিগান, বাংলা প্রেসক্লাব অব মিশিগান, বিয়ানীবাজার সমিতি, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস ইউএসএ, সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সমিতি অব মিশিগান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মিশিগান আওয়ামী লীগ, মিশিগান স্টেট যুবলীগ, (সালেক রুমান), মিশিগান স্টেট যুবলীগ, (রাজেল গুলজার), মিশিগান স্টেট ছাত্রলীগ (খাজা আফজল) মিশিগান স্টেট ছাত্রলীগ (মামুন)।
ঘোষক শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য মিশিগান আওয়ামী লীগের নাম ঘোষণা করলে ভুয়া ভুয়া রব উঠে। এ সময় উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে বক্তারা বলেন ‘পৃথিবীতে অনেক জাতিগোষ্ঠী স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। কিন্তু ভাষার জন্য রক্ত দেওয়ার ইতিহাস অন্য কোনো জাতির নেই। একমাত্র বাঙালি জাতি মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। এ ভাষাকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের একুশের অঙ্গীকার।’
সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন সিটি কাউন্সিলের পক্ষে কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ। সহযোগিতায় ছিলেন মৃদুল কান্তি সরকার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অনামিকা রায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan